অনলাইন আয়ের সেরা টিপ্স

বন্ধুরা তোমরা অনেকেই জানো যে, অনলাইনে ঘরে বসে আয় করা যায়। অনলাইন আয় তাই এখন শুধু ২ টি শব্দ নয়, বরং;  এটা এখন অনেক মানুষের জীবিকার অবলম্বন হয়ে গেছে। শুধু অবলম্বন নয়, অনেকেই এমন আছে, যে এই অনলাইন আয়ের মাধ্যমে লাখপতি, এমনকি কোটিপতিও হয়েছে। আশেপাশে ভালো করে দেখলে এই বিষয়টি বুঝতে পারবে সবাই।

আমাদের মধ্যে যারা ইনকাম নিয়ে টেনশন করি, তাদের বলছি, আর টেনশন করা লাগবে না। আমরা যদি একটু দক্ষ হতে পারি, তবে আমরাও এই অনলাইন আয় করতে পারব। তবে আমাদেরকে অবশ্যই সময় আর শ্রম দিতে হবে। আর ধৈর্য অবশ্যই লাগবে। 

যাই হোক, সেসব কথা না হয় অন্য আরেক দিন আরও ডিটেইলস এ বলব।

আজকে আমি অনলাইনে আয় করার সেরা কিছু উপায় এর কথা বলব। যেগুলোর যেকোনো একটি তোমরা যদি সিলেক্ট কর, তাহলে তোমরা সেখান থেকে অবশ্যই ইনকাম করতে পারবে।

তো কথা না বাড়িয়ে চল শুরু করি।

১। ইউটিউবিংঃ

পৃথিবীতে বর্তমানে মানুষ সবচেয়ে বেশী যে সাইটে সময় ব্যায় করে, সেই সাইটটি হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব থেকে আমরা অনেক টাকা আয় করতে পারি। এর জন্য ১মে আমাদের এখানে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। তোমাদের মধ্যে যে কেও এটি করতে পারো। তবে তোমাদের আগে ভিডিও তৈরিতে একটু দক্ষ হতে হবে। তবে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আমি তোমাদের একেবারেই দক্ষ হতে বলছি না। আমি বলছি শুধু ভিডিও বানানো সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞ্যান থাকতে হবে।

তুমি যে বিষয়ে ভিডিও বানাতে চাও সেই বিষয়েই তোমাকে এই চ্যানেলটি খুলতে হবে। সে বিষয়ে নিয়মিত তোমাকে ভিডিও বানাতে হবে। নিয়মিত তোমাকে ভিডিও চ্যানেলে প্রকাশ বা পাবলিশ করতে হবে। 

এখান থেকে তুমি বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারো। যেমনঃ গুগল এডস্যান্স থকে আয়, এফিলিটিং মার্কেটিং করে আয়, স্পন্সার করে আয়। 

এগুলো কি? তা জানতে চাও? অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিও। পরের পর্বে আমি এই বিষয়ে লিখব ইনশালাহ। তবে এতটুকু শুধু জেনে রাখ যে, গুগল এডস্যান্স থেকে আয় করতে চাইলে তোমার চ্যানেলে অবশ্যই ১০০০ সাবস্ক্রাইবার আর ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম হতে হবে।

২। ফ্রিল্যান্সিং করেঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেই এই নামটির সাথে পরিচিত। এটা হচ্ছে আয় করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটা মাধ্যম, যার মাধ্যমে একটি কম্পানি তাদের কাজ অন্য দেশের নাগরিক দ্বারা করিয়ে নেয়, এই যে এই কাজটা করে দিবে তাকে ফ্রিল্যান্সার বলে। আর তার এই কাজ করার নামই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।

এই সিস্টেম এর মাধ্যমে আমরা অনেক লাভবান হতে পারি। এমনকি আমাদের দেশের অনেকেই এতে খুবই পারদর্শী। তোমরা জেনে খুশি হবে যে, আমাদের দেশ ফ্রিল্যান্সিং করারা দিক থেকে ২য় অবস্থানে আছে। এ সম্পর্কে তোমরা ডিটেইলস এ জানতে চাইলে তোমরা কমেন্ট করে জানাতে পারো। তোমাদের কমেন্টের উপর ভিত্তি করে আমি পরের পর্বে এই সম্পর্কে লিখব ইনশাল্লাহ।

৩। ব্লগিং করেঃ

ব্লগিং কি বা কাকে বলে? ব্লগিং থেকে কি করে আয় করা যায়? এই সম্পর্কে আমি কিছু বলে রাখি। ব্লগিং হলো এমন একটি মাধ্যম, যার মাধ্যমে তোমরা নিজের তৈরি ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখতে পারো। আর সেখানে Google Adsense যোগ করে টাকা আয় করতে পারো। তোমরা কি ব্লগিং করতে চাও? যদি চাও, তবে কমেন্ট করে জানিয়ে দিও। আমি তোমাদের সেটা কি করে করতে হয়, তা দেখিয়ে দিব।

তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের এই পর্ব। তোমরা তো এখন জানতে পারলে কি করে আয় করা যায় অনলাইন থেকে।

উপরের যেকোনো একটা তোমরা বেঁছে নিয়ে আয় করতে পারো।

আজকে তাহলে এখানেই থাক। আবার দেখা হবে অন্য কোনো পর্বে।

ততদিন ভালো থাক, সুস্থ থাক, মুরাদ টিপ্স এর পাশে থাক।

ধন্যবাদ।

ইমেজ ডিজাইনঃ Canva.com